Humayan Rashid

IELTS কি কেন কিভাবে [পরিপূর্ণ গাইড লাইন]

IELTS বা English Language Testing System যাই বলি না কেন এটি কিন্তু একটি Language টেস্ট।আপনি ধরুণ বিদেশে পড়াশুনা করতে চাচ্ছেন বা বিদেশে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে চাচ্ছেন সেক্ষেএে আপনাকে IELTS টেস্ট দিতে হবে। আমরা মূলত এটিকে একটি পরীক্ষা বলে ভুল করি।কিন্তু আসলে এটি কোনো পরীক্ষা না, এটি একটি টেস্ট।এই টেস্ট এর মাধ্যেমে আপনার কিছু জিনিস টেস্ট করা হয়।মানে ওই সকল বিষয় গুলো আপনি ঠিক ঠাক মত জানেন কিনা।আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো ILETS কি, IELTS কেন দিবেন, এবং কিভাবে দিবেন। চলুন শুরু করা যাক।

IELTS কি?
প্রথমেই জেনে নেই IELTS কি? IELTS এর পরিপূর্ণরূপ হল English Language Testing System.মানে IELTS হল একটি টেস্ট, যে টেস্ট এর মাধ্যেমে আপনার ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা কেমন সেটি যাচাই করা হয়।

চলুন জেনে নেই কোন কোন বিষয় গুলোর উপর আপনার দক্ষতা টেস্ট করা হবে এবং তারপর সেগুলোর বিস্তারিত জানবো।

১। স্পিকিং
২। লিসিনিং
৩। রাইটিং
৪। রিডিং

এই চারটি বিষয় এর উপর আপনার দক্ষতা কেমন সেগুলো এই টেস্ট দ্বারা যাচাই করা হয়।

স্পিকিং

স্পিকিং মডিউলটি সবার প্রথমে অনুষ্ঠিত হয়। মানে প্রথমে আপনার স্কিপিং মডিউল এর টেস্ট নেওয়া হবে।এই মডিউল এর মাধ্যেমে টেস্ট করা হয় আপনি ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে যোগাযোগ কেমন করতে পারেন। এক কথায়, আপনি কথা বলতে পারেন কিনা? সময় থাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এটি অনেক সময় ভিডিও কলে হয়, আবার কখন ফিজিক্যাল ভাবে হয়।যে ভাবেই হোক না কেন, সব কিছু মূলত একই। এই মডিউলটি মূলত তিনটি পার্ট থাকে।আমি নিচে তিনটি পার্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি।

পার্ট ১ – প্রথম পার্টে মূলত আপনাকে একদম বেসিক কিছু প্রশ্ন করা হয়। যেমন – আপনার নাম কি?, আপনি কোথায় থাকেন, কি করেন, পরিবারে কে কে আছে?, চাকুরী করেন নাকি পড়াশুনা ইত্যাদি ইত্যাদি। এক কথায় সহজ প্রশ্ন যেগুলো একটা মানুষ যখন আপনাকে প্রথম দেখে, দেখার পর যে যে প্রশ্ন তার মনে আসতে পারে সেগুলো।

পার্ট ২ – প্রথম পার্ট শেষ হওয়া মাএ দ্বিতীয় পার্ট শুরু হয়। দ্বিতীয় পার্টকে অনেকে বলে ক্লিউ কার্ড সেকশন। মানে এখানে প্রশ্ন সম্বলীত একটি কিউ কার্ড দেওয়া হয়। যেখানে একটি টপিক থাকে এবয় কিছু প্রশ্ন থাকে।নিচে একটি উদাহরণ দেওয়া হল –

Describe some food or drink that you learned to prepare
You should say:
what food or drink you learned to prepare
when and where you learned to prepare this
how you learned to prepare this

পার্ট ৩ – এটি একটু কঠিন হয়। আপনাকে আপনার টপিক মানে কিউ কার্ড এবং পার্ট ১ এর উপর ভিত্তি করে কিছু প্রশ্ন করবে। সেগুলো একটু বড় করে বলতে হবে।

নোট – স্পিকিং মডিউল শেষ হবার পরে আপনার বাকি তিনটি মডিউল অন্য কোনো দিন একসাথে অনুষ্ঠিত হবে। মাসে একদিনে হয় স্পিকিং এবং অন্য দিনে বাকি তিনটি মডিউল যেমন – লিসিনিং, রিডিং এবং রাইটিং অনুষ্ঠিত হয়।

লিসিনিং
লিসিনিং মডিউলে আপনাকে একটি হেড ফোনে কিছু ভয়েস রেকডিং শুনানো হবে এবং আপনাকে ওই রেকডিং এর উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন করা হবে। ভয় পাবার দরকার নাই। প্রশ্নের উত্তর রেকডিং এ বলে দিবে।শুধু মাএ আপনাকে সেটি শুনতে হবে মনোযোগ দিয়ে।এই মডিউলে টোটাল সময় ৬০ মিনিট। প্রশ্ন থাকে ৪০ টা। ৩০ মিনিটি রেকডিং চলে এবং বাকি ১০ মিনিট দেওয়া হয় উত্তর গুলো উত্তর পএে ট্রান্সফার করার জন্য। টোটাল ৪ টা পার্ট থাকে।আমরা পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

রিডিং – রিডিং মডিউলে মূলত প্রশ্ন থাকে ৪০ টা। সময় থাকে ৬০ মিনিট। মানে এখানে টোটাল ৩ টা প্যাসেজ থাকে। সে প্যাসেজ গুলোর উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন থাকে। বিভিন্ন প্রকার এর প্রশ্ন হতে পারে। যেমন – Gap Fill, True False Not Given,Yes No Not Given, MCQ,Short Questions Answer ইত্যাদি। আর হ্যা, এই মডিউলে চেক করা হয় আপনি ঠিক মত পড়ে বুঝতে পারেন কিনা।আমরা আরো বিস্তারিত রিডিং মডিউলে জানবো।

রাইটিং – রাইটিং মডিউলে দুইটি প্রশ্ন থাকে। যেগুলো আপনাকে লিখতে হবে।আমরা আগে যে প্যারাগ্রাফ লিখতাম।ঠিত তেমন। প্রশ্ন প্রশ্ন বিভিন্ন চার্ট,গ্রাফ ইত্যাদি এর ছবি দিতে পারে। আন দ্বিতীয় প্রশ্নে আমাদের স্পিকিং এর কিউ কার্ড এর মত।একটা টপিক থাকে এবং একটি বা দুটি টাস্ক বলে দেওয়া থাকে।সেটির উপর ভিত্তি করে লিখতে হয়।

আশা করি সকল বিষয় বুঝতে পেরেছেন। না বুঝলে আমাদের চ্যানেলে অনেক ভিডিও আছে সেগুলো দেখে নিতে পারেন।আশা করি কোনো সমস্যা থাকলে সেটি সমাধান হয়ে যাবে।

IELTS কেন দিবেন?
দেখেন ভাই, আমরা যে কাজই করি না কেন বা যে টেস্টই দিই না কেন? প্রত্যেকটারই একটা কারণ থাকে। ঠিক তেমনই IELTS দিবারও একটা কারণ থাকে। এখন আমরা জানবো ঠিক কি কি কারণে একজন মানুষ IELTS টেস্ট দেয় বা দিতে চায়।

১।  বিদেশে পড়াশুনা করতে চাইলে IELTS দিতে হয়।
২। বিদেশে কাজ করতে চাইলে IELTS দিতে হয়।
৩। বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চাইলে IELTS দিতে হয়।

এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, সব দেশে যেতেই কি IELTS দিতে হয়। না, যে সকল দেশ এর প্রথম ভাষা ইংরেজি, সেসকল দেশে যেতে হলে আপনাকে IELTS দিতে হবে।আবার অনেক সময় IELTS ছাড়াও হয়। কিন্তু সেগুলো অনেক কম। এক কথায় IELTS হল বেস্ট উপায় উপরের কাজ গুলো করার জন্য।

IELTS এর প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন?
এটি নিয়ে ভাই ব্যাপক লিখা যাবেন। লিখেও শেষ করা যাবে না।আমরা আমাদের ঘরে বসে IELTS পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপদত এতটুকু বলতে চাই, প্রথমে সব গুলো বিষয় সম্পর্কে একটা ধারণা নিবেন, প্রশ্নের ধরণ, মডিউল, সময় সব কিছু। তারপর সেগুলো সমাধান করার যে উপায় গুলো আছে সেগুলো আয়ত্ত করুন। তারপর প্যাকটিস করার জন্য ক্যামব্রিজ এর বই গুলো পড়া শুরু করে দিন।সোজা হিসাব।

বাকি হিসাব গুলো অন্য পোস্টে লিখবো। আর হ্যা আমাদের ঘরে বসে IELTS সিরিজে কিন্তু অনেক কিছু পাবেন। ব্লগে একটা ক্যাটাগরি থাকবে এবং ইউটিউবেও একটা ক্যাটাগরি থাকবে। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে ফ্রিতে ঘরে বসে আপনার IELTS প্রস্তুতি নিশ্চিত করা। যা যা লাগে আমরা ফ্রিতে দিয়ে দিবো। আপনি শুধু নিয়মিত সেগুলো পড়বেন। আর হ্যা।নিজে পড়লেই হবে না।আপনার বন্ধুদের সাথে সেয়ার করুন। ধণ্যবাদ

Related Post

Humyan Rashid

Digital Content Creator & Independent Freelancer

best web hosting for your website