আস্সালামুআলাইকুম,
আমি হুমায়ন রাশিদ। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি। উচ্চ শিক্ষার জন্য দুবাই এখন অন্য রকম একটি দেশ। বিশেষ করে আমি যতটুকু বুঝলাম, আমরা সবাই যারা দুবাই বেছে নিতেছি তাঁদের সবারই একই প্ল্যান সেইটা হলো ক্রেডিট ট্রান্সফার করে ভালো কোনো দেশ যেমন আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ এর ভালো কোনো দেশ চলে যাওয়া। এর আমরা অনেক এই এডমিশন এর প্রসেসটা ঠিক মতো না জানার কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়ি। এজন্য আমি আজকের ব্লগে দুবাই এ এডমিশন নেওয়া থেকে শুরু করে একদম ভিসা পাবার মুহূর্ত পর্যন্ত কি কি করতে হয় সেই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি নতুন দেন অনেক কাজে লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।

উচ্চ শিক্ষার জন্য দুবাই

কোর্স এর ধরণ –
আপনি দুবাই তে যে কোনো ধরণের কোর্স করতে পারবেন। আমি বাংলাদেশ এর পরিবেশ এ যদি বলি, তাহলে আপনি ইন্টার শেষ করেই দুবাই তে আপনার জার্নি শুরু করতে পারেন। দুবাইতে কি কি কোর্স করা যায়।

১। অনার্স
২। মাস্টার্স
৩। পি এস ডি
৪। ডিপ্লোমা
৫। শর্ট প্রফেশনাল কোর্স ইত্যাদি

এ ছাড়াও আপনি চাইলে গুগল এ রিসার্চ করতে পারেন।

দুবাই এ স্টুডেন্ট ভিসা করার নিয়ম:

ইউনিভার্সিটি সিলেকশন
কোর্স এর ধরণ টা সিলেক্ট করার পর আপনার প্রথম যে কাজ সেটি হলো ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করা। আমরা অনেকই এই কাজটি ঠিক মতো না করতে পাড়ার কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়ি। আপনি এই স্টেপ এ গুগল এ রিসার্চ করতে পারেন অথবা বাংলাদেশ এ অনেক কন্সালটেন্সি ফার্ম আছে, তাঁদের থেকে হেল্প নিতে পারেন। এর ভাই ইনফরমেশন নিতে কেউ টাকা নেয় না। আপনি চাইলে আমার Humayan’s Overseas পেজ এ গিয়ে Apply Now বাটনে ক্লিক করে সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে ফর্মটা ফিলাপ করে রাখতে পারেন। আমার টীম এর যে কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
যাই হোক ধরে নিলাম আপনার ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করা শেষ এবং আপনি এখন সেই ইউনিভার্সিটি তে আপ্লাই করতে চান।

ডকুমেন্টস
এখন আসি ডকুমেন্টস এর বিষয় এ। আপনার এই পর্যন্ত যত গুলা সার্টিফিকেট আছে সব গুলা স্ক্যান করে রাখবেন। আমি নিচে সব গুলার লিস্ট দিয়ে দিতেসি, যদিও বা দুবাইতে স্টুডেন্ট ভিসা এর জন্য তেমন বেশি ডকুমেন্টস লাগে না।
১। পাসপোর্ট
২। পাসপোর্ট সাইজও ছবি
৩। এসএসসি সার্টিফিকেট
৪। এইচএসসি সার্টিফিকেট
৫। অনার্স সার্টিফিকেট [কোর্স যদি মাস্টার্স হয়]

নোট : দুবাই তে স্টুডেন্ট ভিসা এর জন্য ব্যাংক সলভেন্সি , IELTS লাগে না।

ইউনিভার্সিটি এপ্লিকেশন
আপনার সব কিচু রেডি, এখন আপনি ইউনিভার্সিটি তে এপ্লাই করবেন। এই জন্য আপনি ইউনিভার্সিটি এর ওয়েবসাইট এ গিয়ে নিজে ও এপ্লাই করতে পারেন অথবা আপনি বাংলাদেশ এর যে কোনো এজেন্সি এর কাছে থেকে সহযোগিতা নিতে পারেন। আর একটা কথা, দুবাই এর স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে কোনো এজেন্সি কোনো চার্জ করে না। আপনার যা যা খরচ হবে সব কিছু আপনার অফার লেটার এ লিখা থাকবে।

ভিসা আপ্লাই
ইউনিভার্সিটি তে এপ্লাই করার পর ৫০% বা এমন একটা এমাউন্ট জমা দিয়ে ভিসা এর জন্য এপ্লাই করবেন। ভিসা এর এপ্লাই করতে ১৫০০ ডলার লাগে। এপ্লাই করার ১৫ থেকে ২৪ দিনের ভিতর আপনার ভিসা চলে আসবে। এই পর্যন্ত দুবাইয়ে স্টুডেন্ট ভিসা এর কোনো রিজেকশন নাই।

ফ্লাইট
ভিসা পাইলেন, এখন আপনার যে কাজ সেইটা হলে ফ্লাইট এর টিকিট কাটা। আপনি চেষ্টা করবেন টিকিট ২০ দিন আগে কাটার। তা হলে আপনার খরচ ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার এর মধ্যে হয়ে যাবে।

এই হলো পুরো বিষয়। খরচ এর বিষয় একটু কম বেশি হতে পারে। কিন্তু নিয়ম একই। আসা করি, বুঝতে পেরেছেন। দুবাই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কোনো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন অথবা আপনি আমাকে WhatsApp এ মেসেজ করতে পারেন।

Categorized in:

Study Abroad,

Last Update: August 15, 2024