Humayan Rashid

ড্রপশিপিং বিজনেস কী? ড্রপশিপিং বিজনেস A টু Z গাইডলাইন

হ্যালো,
কি অবস্থা সবার।আশা করি সবাই ভালো আছেন? আমিও ভালো আছি।আমি হুমায়ন। বিদ্যালয় ব্লগ এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। যে যেখানে থেকে আমার এই লিখাটি পড়ছেন আশা করি নিরাপদ আছেন। আর এই পোস্টে আমরা ড্রপ শিপিং সম্পর্কে একদম বিস্তারিত আলোচনা করা।আমরা জানবো ড্রপ শিপিং কি, কিভাবে কাজ করে।বাংলাদেশ থেকে কিভাবে ড্রপ শিপিং করে ইনকাম করা যায় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।এটি আমার ড্রপ শিপিং নিয়ে করা প্রথম পোষ্ট। যদিও বা শুরু সবে।আমরা আস্তে ধীরে পুরো বিষয় গুলো আলেচনা করবো।এজন্য প্রতিটা পোস্ট খুব মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

ড্রপ শিপিং কি?
ড্রপ-শিপিং হলো একটি eCommerce Business Model, এই পদ্ধতিতে একজন বিক্রেতা তার পাইকারি বিক্রেতা অথবা সরবরাহকারীর মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে থাকে। বর্তমানে অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করার মাধ্যম হিসাবে ই-কমার্স সাইট গুলো সম্পর্কে সবাই জানি, ই-কমার্স সাইট গুলো ড্রপ-শিপিং পদ্ধতিতে তাদের সেবা প্রদান করে থাকে। এই পদ্ধতিতে ব্যবসা করতে বিক্রেতাকে পণ্য মজুদ করে রাখার প্রয়োজন হয় না, কারণ পন্য মজুদ রাখার কাজটি পাইকারি বিক্রেতা অথবা সরবরাহকারী করে থাকে। আর পাইকারি বিক্রেতা অথবা সরবরাহকারীই ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে থাকে। ই-কমার্স সাইট গুলো (বিক্রেতা) এর দায়িত্ব হলো কাস্টমারের (ক্রেতা) কাছ থেকে অর্ডার সংগ্রহ করা এবং Wholesaler(পাইকারি বিক্রেতা) অথবা Supplier (সরবরাহকারী) এর কাছে কাস্টমারের যাবতীয় তথ্য যেমন- নাম, ঠিকানা ফোন নাম্বার ইত্যাদি পৌঁছে দেয়া।

ড্রপ শিপিং কিভাবে কাজ করে?
একটু আগেই যে বিষয়টি বললাম, ধরুন আপনি ড্রপ-শিপিং করবেন। সেক্ষেএে আপনার মূল কাজটা কি।কাজটা হল – আপনার ওয়েব সাইট বা পেজ থেকে পণ্যর অর্ডার নেওয়া। অর্ডার নিবার পর সেই ক্রেতার তথ্য যেমন – নাম, ইমেইল, ফোন নম্বার, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য আপনার পণ্যর সেলার বা সরবরাহ কারীর কাছে পৌছে দিবেন। তারপর প্রোডাক্ট প্যাকেজিং থেকে শুরু করে আরো যে সব কাজ থাকে সেগুলো শেষ করে প্রোডাক্টটি কাস্টমার এর হাতে পৌছে দেওয়ার পযন্ত কাজটি করে ওই প্রোডাক্ট এর  সেলার বা সরবরাহকারী।প্রোডাক্ট হাতে পাবার পর কাস্টমার যখন পেমেন্ট করবে তখন আপনার লাভের যে ভাগটি সেটি আপনি পেয়ে যাবেন। আশা করি ড্রপ শিপিং এর পুরো প্রোসেটটা বুঝতে পেরেছেন।তারপরও না বুঝলে ভিডিওটি অবশ্যই দেখবেন।

বাংলাদেশ থেকে ড্রপ শিপিং কিভাবে শুরু করবেন?
দেখেন বাংলাদেশ থেকেও কিন্তু ড্রপ শিপিং আপনি করতে পারবেন। আমি কোনো বিদেশী ওয়েব সাইট এর কথা বলবো না।আপনি যদি চান তাহলে BD SHOP এর সাথে আপনার ড্রপ শপিং শুরু করে দিতে পারেন। এক্ষেএে আপনারকে যে কাজ গুলে করতে হবে সেগুলো হল –
১। প্রথমে আপনি DropShopBD ওয়েব সাইটে যাবেন।
২। যাবার পর আপনি সেখানে ড্রপ শপিং করার জন্য একটা অ্যাকাউন্ট করবেন।
৩। অ্যাকাউন্ট করার পর সেটিং এ গিয়ে আপনার যাবতীয় তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, পেমেন্ট মেথড সহ আরো যাবতীয় তথ্য ঠিক মত ফিলাপ করবেন।
৪। তারপর তাদের প্যাকেজ ক্রয় করতে হবে।
৫। প্যাকেজ ক্রয় করার জন্য পেমেন্ট করার ১২ ঘন্টার মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে।
৬। তারপর আপনি প্রোডাক্ট সিলেক্ট করে, সেই প্রডাক্ট এর মার্কেটিং শুরু করে আপনার ড্রপ শিপিং শুরু করতে পারেন।

এগুলো তো পড়লেন। আপনি নিচের ভিডিওটি দেখেবেন।আশা করি পুরো বিষয়টা আরো ক্লিয়ার হয়ে যাবেন।

কিভাবে প্রোডাক্ট প্রোমোট করবেন?
দেখেন ভাই, প্রোডাক্ট প্রোমোট করার বিভিন্ন উপায় আছে।আমি বিস্তারিত কিছু এই পোস্টে আলোচনা করবো না।আমি শুধু কয়েকটি বিষয় লিস্ট আকাড়ে লিখছি। অন্য কোনো একট্ পোস্টে বিস্তারিত লিখবো।
১। সোসিয়াল নেটওয়ার্ক – আপনি চাইলে বিভিন্ন সোসিয়াল নেটওয়ার্ক যেমন – ফেসবুক, টুইটার, ইস্টাগ্রাম, লিংডিন ইত্যাদি এর মাধ্যেমে প্রোমোট করতে পারেন।
২। ওয়েবসাইট – আপনি চাইলে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে সেখনে ড্রপ শিপিং করতে পারেন।

আরো বিভিন্ন উপায় আছে, যা আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করবো।

ইনকাম কতটুকু হতে পারে?
কতটুকু ইনকাম হবে বা ইনকাম হবে কিনা এটি আসলে পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার উপর। দেখেন যে যে কাজই করুক না কেন, যদি সেটি ঠিক মদ করে তাহলে সেখানে থেকে ১০০% প্রোফিট আপনি পাবেন। যদি আপনি কাজ ঠিক মত করেন তাহলে আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনি ১০০% ইনকাম করতে পারবেন। হয়তো প্রথমে একটু কম হবে।কিন্তু আস্তে আস্তে সেটি বাড়বে।

এতক্ষণ পোস্টটি পড়ার জন্য ধণ্যবাদ। যদি কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হয় বা কোনো কিছু বলার থাকে তাহলে কমেন্ট করবেন।আর হ্যা ভিডিওটি দেখবেন।

Related Post

Humyan Rashid

Digital Content Creator & Independent Freelancer

best web hosting for your website